আজ ১ জুলাই। ঢাকার গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার দুই বছর। সেই হামলায় নিহত ব্যক্তিদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে জাতি। অন্য সময় ভবনটি বন্ধ থাকলেও আজ রোববার সকাল ১০টা থেকে চার ঘণ্টার জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
সকাল ১০টার আগেই কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে হোলি আর্টিজানের সেই ভবনের সামনে বিভিন্ন দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক সংস্থার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন, পুলিশ কমিশনার, ডিএমপি কমিশনার ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তিও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মীরাও শ্রদ্ধা জানান। সেদিন ছুরিকাঘাতে ১৭ বিদেশি নিহত হয়েছিলেন। গুলশান-২, ঢাকা, ১ জুলাই।
নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়ায়দুল কাদের বলেছেন, ‘মর্মান্তিক ও নৃশংস এ ঘটনার তদন্তে সরকার বসে নেই।
পুলিশ কমিশনার আমাকে জানিয়েছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে চার্জশিট হবে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বৈশ্বিক একটি সমস্যা। তবে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় তারা অনেকটাই নিস্তেজ হয়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় তারা নির্মূল হয়েছে এটা বলব না, তবে তারা দুর্বল হয়েছে। আমরা নিরাপদ আছি।’
সেদিনের হোলি আর্টিজান ভবনের বর্তমান অবস্থা। গুলশান-২, ঢাকা, ১ জুলাই।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাত পৌনে নয়টার দিকে হোলি আর্টিজান বেকারিতে অতর্কিতে আক্রমণ করে পাঁচ জঙ্গি। তারা ভেতরে থাকা সবাইকে জিম্মি করে এবং গুলি করে, কুপিয়ে, ছুরিকাঘাতে ১৭ বিদেশি ও ৩ জন বাংলাদেশিকে হত্যা করে।
সেখানে তাৎক্ষণিক অভিযান চালাতে গিয়ে জঙ্গিদের বোমায় নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। আহত হন র্যাব-১-এর তখনকার অধিনায়ক লে. কর্নেল তুহিন মাসুদ, পুলিশের গুলশান অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার আবদুল আহাদসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। গুলশান-২, ঢাকা, ১ জুলাই।
এই হামলা ও জিম্মি সংকট চলাকালে এর দায় স্বীকার করে সিরিয়া-ইরাকভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস (ইসলামিক স্টেট)।
এমনকি জিম্মি সংকট চলাকালে হত্যাযজ্ঞের ছবি আইএসের নিজস্ব অনলাইন আমাক নিউজে প্রকাশ করা হয়। অবশ্য বাংলাদেশ সরকার আগের বিভিন্ন ঘটনার মতো এই ঘটনায়ও আইএসের দাবি নাকচ করে দেয়।